ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে ষষ্ঠ কূপ ‘টবগী-০১’ এর খনন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নে নতুন এ কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুবর হোসেন। এসময় পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। নুতন কূপ খননের মাধ্যমে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির আশা বাপেক্সের।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসেক্ষেত্রে ৬ষ্ঠ কূপ খননের উদ্যোগ নেয় বাপেক্স।
বাপেক্সের নকশা ও লোকেশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গ্যাসপ্রম কূপ খনন কাজ পরিচালনা করছে। নতুন গ্যাসের সন্ধানে কূপটির প্রায় ৩ হাজার ৫শ’ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হবে। সফল হলে এ কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ থেক ২৫ মিলিয় ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
খনন কাজ উদ্বোধনের পর পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জানান, দেশিয় গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ কূপটি ৩ হাজার ৫শ’ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হবে। আজকে যে খনন কাজ শুরু হলো তা থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করেন তিনি। যা গ্যাস সংকট পূরণে সহায়তা করবে।
বাপেক্সের ব্যববস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এ কূপ খনন তার মধ্যে অন্যতম। খনন কাজের মধ্যদিয়ে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের আগে ৪টি কূপ ও শাজবাজপুর ইস্ট নামের আরও একটি কূপ খননের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ‘টবগী-০১’ ষষ্ঠ কূপ। এছাড়া সদর উপজেলায় ভোলা নর্থ নামের আরেকটি কূপ খনন করা হয়েছে। এর পরে সদর উপজেলার ইলিশা এলাকাসহ আরও ২টি কূপ খনন করা হবে বলে বাপেক্স এমডি জানিয়েছেন। এর মধ্যে শাহবাজপুরের ৪টি কূপ থেকে ভোলার বিদ্যুৎ প্লান্ট ও ৩ হাজার গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ কূপে দেড় টিসিএফ গ্যাস মজুদ আছে যা আরও বাড়বে বলে আশা বাপেক্সের।