লাইফস্টাইল

যেভাবে ১৬ মাসে ১৫৫ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন আদনান সামি

টাইমস অব ইন্ডিয়াবলিউডের বিখ্যাত গায়কদের মধ্যে আদনান সামি অন্যতম। ২০০০ সালে ‘মুজকো ভি তু লিফ্ট কারা দে’ গানটির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। গানটির আকর্ষণীয় লিরিক্স এবং পেপি বিটগুলোতে মুগ্ধ হয়েছিল শ্রোতা ও দর্শকরা। এই গানটি ছাড়া যেন পূর্ণতা পেত না কোনো অনুষ্ঠান। একজন সুরকার এবং গায়ক হিসেবে অনেক চার্ট বাস্টার মন্থন করেছেন তিনি।

তবে সব সময় যে বিষয়টি তাকে বিতর্কিত করেছে তা হলো তার ওজন। এমনকি ফিল্ম ভ্রাতৃত্বের মানদণ্ড অনুসারে নিখুঁত আকার থেকে দূরে ছিলেন বলে লজ্জা পেয়েছিলেন তিনি। একের পর এক হিট গান দিয়েও ২০০৫ সালে তিনি হঠাৎ করে পর্দা থেকে হারিয়ে যান। এরপর যখন তিনি পর্দায় ফেরেন ২২০ কেজি থেকে তাকে দেখা যায় মাত্র ৬৫ কেজিতে।

আমাদের অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাতে চাইলেও পারছেন না। তারা চাইলেই অনুপ্রেরণা নিতে পারেন আদনান সামির থেকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ১৬ মাসে কীভাবে ১৫৫ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন আদনান সামি।

আদনানের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট : ২০০৫ সালে লিম্ফিডেমার জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল সামিকে। যার জন্য তাকে তিন মাস বিছানায় বিশ্রামে থাকতে হয়। স্থূলতার কারণে তার শ্বাস নিতে অসুবিধা হত। তখন ডাক্তাররা তাকে সতর্ক করে বলেছিলেন, ওজন না কমালে তিনি মাত্র ৬ মাস বেচে থাকবেন। এরপর পরিবার, বন্ধুদের অসাধারণ সমর্থন এবং হিউস্টনের একজন পুষ্টিবিদের নির্দেশনায় ওজন কমানোর যাত্রা শুরু করেন সামি। একটি সাক্ষাতকারে সামি বলেছিলেন, ওজন কমানোর কাজটি ছিল ৮০ শতাংশ মনস্তাত্ত্বিক এবং মাত্র ২০ শতাংশ শারীরিক। দৃঢ়তা এবং দৃঢ় সংকল্পের কারণে মাত্র ১৬ মাসে প্রায় ১৫৫ কিলো ওজন কমাতে সক্ষম হন তিনি।

আদনান সামির ডায়েট চার্ট : আদনানের পুষ্টিবিদ প্রথমে তাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে সরিয়ে আনেন। এরপর তাকে একটি কম-ক্যালরিযুক্ত ডায়েট চার্ট দেন। সাদা ভাত, রুটি এবং অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক ফুড বাদ দিতে হয়েছিল তাকে। শুধু সালাদ, মাছ ও সিদ্ধ ডাল খেতেন তিনি। তার দিন শুরু হয় এক কাপ চিনি কম চা দিয়ে। দুপুরের খাবারে তিনি ভেজি সালাদ এবং কিছু মাছ খান। রাতের খাবারে ছিল সাধারণ সিদ্ধ ডাল বা মুরগির মাংস। তিনি শুধুমাত্র চিনি-মুক্ত পানীয় খেতে পারতেন। স্ন্যাকসের জন্য খেতেন ঘরে তৈরি শুকনো পপকর্ন।

আদনানের ব্যায়াম রুটিন : আদনান এতটাই স্থূল হয়ে গিয়েছিল যে শরীরের চাপের কারণে তিনি জিমে যেতে পারেননি। ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়। ৪০ কেজি ওজন কমার পর ট্রেডমিলে শুরু করেন হালকা ব্যায়াম। প্রতি মাসে গুণী এই গায়ক ১০ কেজি করে ওজন কমেয়িছেন।

সংবাদ উৎস
টাইমস অব ইন্ডিয়া

এমন আরো সংবাদ

Back to top button