অর্থনীতিহাইলাইটস

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.৭%

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসআগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার প্রকাশিত সংস্থার গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট প্রতিবেদনে তারা এ আভাস দিয়েছে। এর আগে চলতি বছরে জানুয়ারিতে  ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। ফলে নতুন পূর্বাভাসে আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমালো সংস্থাটি। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে। এটিও সরকারি হিসাবের তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে। বিশ্বব্যাংকের মতে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খানিকটা বাড়বে। দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ তেলসমৃদ্ধ আরব দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙা হওয়ায় সেখান থেকে রেমিট্যান্স আসা বেড়ে যাওয়াই এর কারণ বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিমারি করোনার প্রভাব থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হয়েছে বাংলাদেশে। এটি চলতি অর্থবছরে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত রফতানি আয়ে ২৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শিল্প উৎপাদনও বেশ দ্রুতগতিতে বেড়েছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর প্রভাব পড়াসহ অর্থনীতিতে নানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button