করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী এক কোটির বেশি মানুষকে গণটিকার আওতায় আনতে আজ শনিবার থেকে বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। বুস্টার ডোজের এ গণটিকা কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৪ জুন থেকে ১০ জুন কোভিড বুস্টার সপ্তাহ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। আজ সকাল ৯টা থেকে দেশের সব স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে কভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে।
অধিদপ্তরের করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. শামসুল হক জানান, আমরা এ সপ্তাহে এক কোটির ওপরে বুস্টার ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। বুস্টার ডোজ নেয়ার উপযুক্ত প্রায় চার কোটি মানুষ আমাদের এখনো অপেক্ষমাণ আছেন। আশা করছি এ সপ্তাহে আমরা অপেক্ষমাণদের বৃহৎ অংশকে বুস্টার ডোজ দিতে পারব।
স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থায়ী কেন্দ্রের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, উপজেলা হাসপাতালগুলোয় টিকা দেয়া হবে। আর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে, পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে, গ্রামের ক্ষেত্রে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে অস্থায়ী কেন্দ্র পরিচালিত হবে। অস্থায়ী কেন্দ্রগুলোয় কেন্দ্রভেদে কোথাও পুরো সপ্তাহ টিকা দেয়া হবে, আবার কোনো জায়গায় দুইদিন চলবে।
এদিকে, সারাদেশে মোট ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রকাশিত বুস্টার ডোজ সপ্তাহের কর্ম পরিকল্পনায় জানানো হয়েছে । এর মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ৬২৩টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৫ হাজার ৫৫৮টি। বুস্টার ডোজ সপ্তাহ চলাকালে একযোগে ৪৫ হাজার ৫৩৫ জন টিকাদান কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
যেসব অস্থায়ী কেন্দ্রে দুইদিন টিকা দেয়া হবে সেসব কেন্দ্রে টিকা দেয়ার তারিখ স্থানীয় পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হবে। ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী যাদের দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্তির চার মাস অতিবাহিত হয়েছে তারা করোনার বুস্টার (৩য়) ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। নিকটস্থ কেন্দ্র অথবা বাংলাদেশের যে কোনো কেন্দ্রে করোনার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সনদ প্রদর্শন করে নেয়া যাবে বুস্টার ডোজ। এছাড়া টিকাকেন্দ্রে বয়স্ক, নারী, গর্ভবতী নারী ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করা হবে।
