প্রযুক্তি

সড়কেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট

oviআধুনিক ট্রাফিক সিস্টেমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করতে যাচ্ছে চীন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজেদের সমন্বয় করতে শিখছেন নানামুখী কৌশল। চীনের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে আরো সংশোধনী আনা গেলে পরিপূর্ণ গতি আসবে সড়ক ব্যবস্থাপনায়।

‘দ্যা কনসেপ্ট অফ সিটি ব্রেইন’ বিষয়টি বুঝতে পারা খুব একটা সহজ কাজ নয়। বিষয়টি সবার সামনে বিশ্লেষণ করা আরো কঠিন একটা কাজ। তবে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে গিয়ে এ কাজে বেশ পারদর্শী হয়েছেন চীনা প্রতিষ্ঠান আলীবাবা গ্রুপের প্রযুক্তি বিষয়ক পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং চিয়ান। ক্লাউড কম্পিউটিং প্রোগ্রামের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি সব সময় চেষ্টা করেন খুব চমৎকার করে বিষয়বস্তু তুলে ধরার। এবার তার লক্ষ্য চীনের ট্রাফিক সিস্টেমকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আওতায় আনা।

ওয়াং চিয়ান, আলীবাবা গ্রুপের প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান
ওয়াং চিয়ান, আলীবাবা গ্রুপের প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান

রোডের পাশে পার্কিংয়ে থাকা গাড়িগুলো সনাক্ত করা কঠিন একটি কাজ সাধারণ রোবটের জন্য। কারণ অধিকাংশ গাড়ি দেখতে প্রায় একই রকম। তবে ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা গেলে সনাক্তকরণ  পদ্ধতিতে গতি আসবে।

চীনের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে যাচ্ছেন। এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে তাদের।

কং ওয়ানফেং, উপ পরিচালক, হাংচৌ ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোআমরা এরই মধ্যে কয়েকটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছি।  সড়কে দুর্ঘটনা এড়িয়ে যান চলাচল সহজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দারুন কাজ করবে আশা করছি”

কং ওয়ানফেং, উপ পরিচালক, হাংচৌ ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোপ্রযুক্তিবিদরা বলছেন, ট্রাফিক সিস্টেমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ শুরু হলো মাত্র। ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে আরো বড় পরিসরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ কার্যকরা হবে নিশ্চয়।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button