অর্থনীতি

ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে ৯২০ কোটি পাউন্ড বিক্রির প্রত্যাশা

 ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে ৯২০ কোটি পাউন্ড বিক্রির প্রত্যাশা বছর ঘুরে আবার আসছে ব্ল্যাক ফ্রাইডে। থ্যাংকসগিভিংয়ের পরের শুক্রবারকেই বলা হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে। দিনটি উপলক্ষে প্রতি বছরই বিরাট আকারের ছাড় দেয় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সময় এত পরিমাণ বিক্রি হয় যে, ছাড়ের পরও আসলে লোকসান হয় না। গত বছর মহামারীর কারণে ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা এবার কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এবার একদিনে ৯২০ কোটি পাউন্ডের বেচাকেনা হবে, যা ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের মোট বিক্রির ১৫ শতাংশ। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

জন লুইস, আসদা ও কারিস বলছে, এ বছরের ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে ক্রিসমাস সপ্তাহের চাইতেও বেশি পণ্য বিক্রি করা যাবে। যদিও পশ্চিমা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই এখন সরবরাহ চেইনের সংকটে রয়েছে। পাশাপাশি চালক সংকটের কারণে গ্রাহকদের বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দেয়ার সুবিধাও সবসময় পাওয়া যাচ্ছে না।

আবার নেক্সট ও মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো স্টোরগুলো ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে অংশ নিচ্ছে না। কেউ কেউ ভিন্নধর্মী অফার দিচ্ছে। যেমন আইকিয়া ক্রেতাদের জন্য নতুন অফার দিয়েছে। আর সেটি হলো পুরনো ফার্নিচার ফেরত দিলে চুক্তির তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি অর্থ দেয়া হবে।

খেলনা প্রস্তুতকারক চেইন দি এন্টারটেইনারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গ্রে গ্রান্ট বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। যেমন খাদ্য, জ্বালানি ও কেনাকাটা খাতে আগের চাইতে বেশি খরচ করছেন তারা। সে কারণে ব্ল্যাক ফ্রাইডের সময় বিক্রি অনেক বাড়বে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। তিনি মনে করেন, ভোক্তারা এই সেলের অপেক্ষায় থাকেন।

বিশ্লেষকরাও বলছেন ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে বিক্রি অনেক বাড়বে। কারণ পরিবারগুলো মহামারীর পর এবারই প্রথম একসঙ্গে কোনো উৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছেন। একটা দীর্ঘসময় তারা অনলাইনে কেনাকাটা করেছেন। এখন দেখার বিষয় স্টোরগুলো অনলাইনের তুলনায় কত ভালো অফার দিতে পারে।

গত বছরের তুলনায় এবার অনলাইনে কেনাকাটাও পাঁচগুণ বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা। গ্লোবালডাটার বিশ্লেষণ বলছে, স্টোরগুলো খুলে গেলেও অনলাইনে কেনাকাটার ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে। কারণ মূলত অনলাইনে বা নিজস্ব ওয়েবসাইটেই বড় বড় প্রতিষ্ঠান সেলের ঘোষণা দেয়। তবে অনেকে আবার মনে করছেন, স্টোরগুলো খুলে দেয়ার ফলে অনলাইনে কেনাকাটার হার কমবে। যেহেতু দোকানে গিয়ে দেখে-শুনে বেছে পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে, তাই অন্তত ১০ শতাংশ কমতে পারে অনলাইনের কেনাকাটা।

আবার যেহেতু এখন বাজারে কম্পিউটার ও বিভিন্ন গেমিং কনসোলের সংকট রয়েছে, ফলে অন্য বছরের মতো সেগুলো অনলাইনে কিনতে পারবেন না ক্রেতারা। এতেও ক্রেতার সংখ্যা কমবে।

বিশ্বখ্যাত অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই সেল শুরু করেছে। কারিস লয়্যালটি কার্ড আছে এমন গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার দিয়েছে। জন লুইসও নতুন ৯০০টি অফার দিয়েছে। জন লুইসের ট্রেডিং অপারেটিং ডিরেক্টর জন উইলিয়াম বলেন, খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৯ সালের অবস্থায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী। এরই মধ্যে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। তারাও ক্রেতাদের জন্য নতুন নানা অফার দিচ্ছেন। ক্রেতারা সেগুলো লুফে নেবেন এবং সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতিতে অগ্রগতি হবে বলে আশা এ কর্মকর্তার।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button