শীতে সুরক্ষিত থাকতে খাদ্যাতালিকায় রাখুন পালং শাক
শীত মানেই উৎসব। এ সময় উৎসব, দাওয়াত লেগেই থাকে। তবে উৎসব ছাড়া শীতকালের নানা সমস্যাও রয়েছে। এই সময়ে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের প্রভাব বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে এই ঋতুতে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পালং শাক দারুন উপকারী।
পালং শাকের মধ্যে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের জরুরি উপাদান রয়েছে। এই শাকে ২৩ ক্যালরি, ৯১ শতাংশ পানি, ২ দশমিক ৯ গ্রাম প্রোটিন, ৩ দশমিক ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৩ দশমিক ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ দশমিক ২ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। এছাড়াও এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে১, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম থাকে।
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পালং শাক রাখলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
চোখের জন্য ভালো: পালং শাকে লুটিন উপাদান রয়েছে। এছাডা়ও এই শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেরোটিনয়েড থাকে। এই কেরিটিনয়েড চোখের বিভিন্ন ক্ষতি আটকায়। অন্যদিকে এই শাকে উপস্থিত জ্যাক্সন্থিন উপাদানও চোখের পক্ষে ভীষণ উপকারী। আবার পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ চোখের মেমব্রেন ভালো রাখে।
ক্য়ান্সার থেকে বাঁচায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার রোধ করতে এই শাক দারুণ কার্যকরী। এছাড়া স্তন ক্যান্সার রোধ করতেই চাইলেও পালং শাক খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপের রোগী প্রতিদিনই বাড়ছে। পালং শাকে থাকা নানা উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তাই গবেষণা বলছে, রক্তচাপ রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে এই খাবার খেতে হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাডা়তে: এই করোনা পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলাটাই হল একমাত্র লক্ষ্য। এক্ষেত্রেও সাহায্য করে এই শাক। পালং শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে এই শীতের সময়ে শিশু থেকে বড় সকলেই এই শাক খেয়ে নিজেদের সুস্থ রাখা উচিত।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়: পালং শাকে থাকা ফলেট খুব দ্রুত রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই যাদের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি রয়েছে তারা অবশ্যই পালং শাক খাবেন। এছাড়া চুল, ত্বকের যত্নেও পালং দারুণ কাজ করে।
যে কোনও শাক খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া উচিত এবং ভালো করে সিদ্ধ করা প্রয়োজন। শাক রান্নায় বেশি তেল দেওয়া ঠিক নয়। তাহলে কাঙ্খিত পুষ্টি পাওয়া যাবে না। আবার চাইলে পালং শাক ধুয়ে সিদ্ধ করে তার পানিও খেতে পারেন।