অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম পেলেন অনন্য স্বীকৃতি
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি জাহাঙ্গীর আলমকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘সিআইওভিউজ’ নামের ম্যাগাজিন।
সিআইওভিউজ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি দেশের বাণিজ্য নগরী থেকে প্রকাশিত হয়।
‘বিজনেস বাইবেল’ হিসেবে খ্যাত বাণিজ্যবিষয়ক ম্যাগাজিনটি উদীয়মান সফল উদ্যোক্তা ও তাদের যাত্রা, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামত এবং ব্যবসায়িক বিশ্ব সম্পর্কিত নানা বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
চলমান বৈশ্বিক মহামারির অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে আইটি ও টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম তার প্রতিষ্ঠিত উদ্ভাবনী গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ ‘টেলিঅজ’ সংস্থাকে সফল ও সঠিকভাবে পরিচালনা করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন এবং প্রশংসিত হয়েছেন।
সিআইওভিউজ একটি বিশেষ সংখ্যায় জাহাঙ্গীর আলমসহ ২০২১ সালের করপোরেট জগতের ১০ জনকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তরুণ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ভীষণ জনপ্রিয়। সফল ব্যবসায়ীর পাশাপাশি তিনি ভালো উপস্থাপক, সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী ও বাঙালি কমিউনিটিবান্ধব। দেশে কিংবা প্রবাসে বাঙালির নানা দুর্যোগে ও সংকটে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
প্রবাসের বহুভাগে বিভক্ত কমিউনিটিতে তিনি সব বিভেদ ও বিভক্তি এড়িয়ে সবার কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম ২০০৪ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিএসই) বিএসসি করেন। একই বছর তিনি মোটোরোলা সলিউশনসহ নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। কর্মরত অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জাহাঙ্গীর আলম যোগাযোগ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার প্রয়াসকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্য ঠিক করেন। সে অনুযায়ী ‘টেলিঅজ’ নামের প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেন।
তার দক্ষতা প্রসারিত হয়ে আছে রূপান্তরকামী নেতৃত্ব, কৌশলগত পরিকল্পনা, ব্যবসায়ের বিকাশ, কার্যকরী পরিচালনা, স্টেকহোল্ডার কার্যদর্শন, গ্রাহক পরিষেবা, বাণিজ্যিক ও আর্থিক পরিচালনা, অপারেশনাল উন্নতি ও পরিবর্তন ব্যবস্থাপনায়।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তরুণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তাদের সবসময় তাদের প্রবৃত্তিতে বিশ্বাস রাখা উচিত। তাদের উচিত বড় স্বপ্ন দেখা এবং তা অর্জনে তাদের দক্ষতার ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করানো। এই প্রক্রিয়া অতিক্রম করার সময়, তাদের কখনই দমে যাওয়া উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যা করতে পছন্দ করেন তা করুন এবং কখনই হাল ছাড়বেন না। সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই। ব্যর্থতা ও চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্য দিয়ে শিখুন।’