খেলাধুলা

লজ্জার ব্যাটিংয়ে ৮৪ রানেই শেষ বাংলাদেশ

552চরম হতাশ করলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নাঈম-সৌম্যরা। লজ্জার ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অল্প রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন মেহেদী হাসান। আর ৩৬ বলে ২৪ রান করেন লিটন দাস।

আবুধাবিতে ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশ। বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি ওপেনিং জুটি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে আউট হন ওপেনার নাঈম। লেংথ বল পুল করার চেষ্টা করেন তিনি, ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ চলে যায় মিড উইকেটে। সেখানে থাকা রিজা হেনড্রিকস ক্যাচ মুঠোয় নিয়ে ফিরিয়ে দেন নাঈমকে (৯)।

ওয়ানডাউনে নেমে গোল্ডেন ডাকে ফিরলেন সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে সৌম্যকে বিদায় করলেন রাবাদা। যদিও সৌম্যকে শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। রিভিউতে বোঝা যায় স্পষ্ট ছিল আউট।

দলের বিপদের দিনে হাল ধরতে পারেননি মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। ৬ষ্ঠ ওভারেই বিদায় নেন মুশফিক। রানের খাতাও খুলতে পারেননি তিনি। রাবাদার বলেই ফিরলেন তিনি। রাবাদার অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল মুশফিকের ব্যাটে লেগে চলে যায় গালির দিকে। সেখানে থাকা হেনড্রিকস ক্যাচ নিতে ভুল করলেন না।

রাবাদার তিন শিকারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে আউট করেন আনরিখ নরকিয়া। স্লিপে মারক্রামের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। ৯ বলে ৩ রান করেন তিনি, ৩৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সতীর্থদের আশা যাওয়ার মিছিলে কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়েন লিটন দাস। ছয়ে নেমে তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি আফিফ হোসেনও। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যর্থ থাকা আফিফও ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। এরপর লিটনের প্রতিরোধ ভাঙেন শামছি। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চরম চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এই চাপ কাটিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি তারা। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ৮৪ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে ২০ রান খরচায় তিন উইকেট নেন রাবাদা। নরকিয়া ৮ রান দিয়ে পান সমান তিন উইকেট। আর ২১ রানে শামছি দুই উইকেট পান।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button