জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রোধে আগামী ১ দশকের মধ্যে বাংলাদেশে বন্ধ হতে পারে ডিজেল-পেট্রল ও অকটেন চালিত গাড়ি। তার বদলে ভর্তুকি মুল্যে দেয়া হতে পারে ইলেকট্রিক গাড়ি। পরিবেশ বান্ধব লিথিয়াম ব্যাটারি চালিত এমন ই গাড়ি পরীক্ষামুলক ভাবে চালু হতে পারে এ বছরই। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে একথা জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু । এই বিষয়ে বিভিন্ন দেশ প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
এখন মুলত: ইলেকট্রিক গাড়ির দিকেই ঝুঁকছে বিশ্ব। প্রতিবেশী ভারত কিংবা প্রযুক্তি খাতের অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য চীনও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত তাদের ৩০ শতাংশ গাড়ি ইলেকট্রিক করার ঘোষণা দিয়েছে। নরওয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ গাড়িই এখন ইলেকট্রিক।
এরই মধ্যে নিটল-নিলয় গ্রুপ নিজস্ব কারখানায় বাণিজ্যিকভাবে তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে দেশি ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক কার। ‘সবার-ই’ ব্র্যান্ড নামে এই ইলেকট্রিক কার ১২ লাখ টাকায় কেনা যাবে। এমন গাড়ি তৈরি করছে বাঘ ইকো মটরসও । প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পী জানান তাদের কমপক্ষে ১০ ধরনের ইকো ইলেকট্রিক্যাল গাড়ি এখন বাজারে আসার অপেক্ষায়। যেটি দেশের মধ্যবিত্তের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকবে। পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি হবে। এ স্বপ্ন এবার পূরণ হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘চীনের অনেক শহরে যে বাস ও ট্যাক্সি আছে, যা সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক। ১০ বছর পরে অটোমোবাইল শিল্পে ইঞ্জিন ভিত্তিক গাড়ি তৈরি প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। ইলেকট্রিক গাড়িতে দূষণ নেই, তেল খরচ নেই। এটি আমাদের দেশের জন্য দারুণ সংযোজন হতে পারে। কেননা, পরিবহন খাতকে ইলেকট্রিক করতে পারলে এ খাতে দুই বিলিয়ন ডলার জ্বালানি খরচ সাশ্রয় হবে। এ অর্থ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করে দেশের শিল্পখাতে নতুন মাত্রা যোগ করা সম্ভব।’