ঢাকার বাইরে যশোরেই প্রথম পার্সোনালাইজেশন সেলের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট প্রিন্টিং চালু হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী। এর মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ই-পাসপোর্ট স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে পারবে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
যশোর পাসপোর্ট অফিসের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুনে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। এরপর দেশ ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করে। ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ২৮ জুন যশোর অফিসে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। তখন ঢাকা থেকে পাসপোর্ট ছেপে যশোরে পাঠানো হতো। যশোর অফিস সেগুলো বিলি করত। কিন্তু এবার ঢাকা থেকে ছাপানো যুগেরও অবসান হলো।
গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী বলেন, ঢাকার বাইরে যশোরেই প্রথম পার্সোনালাইজেশন সেলের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট প্রিন্টিং চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার ই-পাসপোর্ট স্বল্পতম সময়ে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি এটি ঢাকার পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে। চূড়ান্তভাবে এর মাধ্যমে পাসপোর্ট অধিদপ্তর দৈনিক ২৫ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপপ্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমান, টেকনিক্যাল প্রজেক্ট ডিরেক্টর পিয়ার অ্যালেকজেন্ডার কুমারেক, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও যশোর পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে মৌসুমী ইসলাম, মেহেরিস ইসলাম, স্বপ্না ও আজিজুর রহমানের ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।