অর্থনীতিহাইলাইটস

সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারি

85458পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তফসিলি ব্যাংকের গঠনকৃত ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল সুকুক বন্ডে (শরিয়াহসম্মত বন্ড) বিনিয়োগের বিষয়ে এক নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুকুকে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে ব্যাংকগুলো। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে গতকাল এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে তা এরই মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত ২০০ কোটি টাকার তহবিলের সম্পূর্ণ অংশ (লভ্যতা অনুসারে) ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তিচালিত বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়োমাস ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ইস্যুকৃত তালিকাভুক্ত বা সাবস্ক্রিপশন ক্লোজিংয়ের তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হবে এমন ১০০ শতাংশ অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুকে বিনিয়োগ করা যাবে।

সেক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শর্তগুলো হলো ইসতিসনা সুকুক, সালাম সুকুক, ইজারাহ সুকুক এবং এ তিন ধরনের সুকুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইব্রিড সুকুকে এ অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে। সুকুকের তহবিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মার্জিনে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে, পণ্য ১২০ দিনের মধ্যে জাহাজীকরণ/সরবরাহ করার শর্ত থাকতে হবে, সমস্ত স্থানীয় ব্যয় (যদি থাকে) ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে ও প্রকল্প উন্নয়নে সর্বোচ্চ আট মাস সময় বরাদ্দ থাকতে পারবে।

অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে সুকুকের তহবিল স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের (এসপিভি) নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ওই ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুকের জন্য নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট ব্যয় ছাড়া অন্য কোনো খাতে খরচ/কর্জ প্রদান করা যাবে না। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে কোনো কারণে বিএসইসি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুকুকের সাবস্ক্রিপশন সম্পূর্ণ না হলে বা সুকুক ইস্যুর বিষয়টি বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট এসপিভি কর্তৃক এক সপ্তাহের মধ্যে বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোকে সব অর্থ ফেরত দিতে হবে। এ বিষয়ে সুকুকের ট্রাস্টি, এসপিভি ও বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। সেকেন্ডারি মার্কেট বা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কিংবা উভয় প্রকারের কোনো সুকুকের মোট ইস্যুর ১০ শতাংশের বেশি পরিমাণ কোনো ব্যাংক বিনিয়োগ করতে পারবে না। রূপান্তরকারী সুকুকের ক্ষেত্রে কনভারশনের পর ইকুইটি ধারণ যাতে ১০ শতাংশের বেশি না হয়, তা বিনিয়োগকারী ব্যাংককেই নিশ্চিত করতে হবে। অতালিকাভুক্ত সুকুকে বিনিয়োগের আগে সাবস্ক্রিপশনের তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্তির বিষয়ে ট্রাস্টি, এসপিভি, ইস্যুয়ার ও বিনিয়োগকারী ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে হবে।

এছাড়া বিনিয়োগের অনুপাত সুকুক ব্যতীত সার্কুলারে বর্ণিত অন্য যেকোনো উপাদানে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা তহবিলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button