দেশহাইলাইটস

ডোমারে আখচাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক

25896আখ বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান অর্থকারী ফসল। চিনি ও গুড় তৈরীর অন্যতম ফসল আখ। আখের বাম্পার ফলনে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার আখ চাষিদের।। অল্প খরচে বেশী লাভবান হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আখের চাষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ঠিকমত পরিচর্যার ফলে এবছর আখের উৎপাদন কয়েকগুন । ভালো ফলন হওয়ায় খুশি চাষীরা। রোগ বালাই কম ও লাভজনক হওয়ায় আখ চাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। একর প্রতি আখ প্রায় আড়াই লক্ষাধীক টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। আখ চাষে একর প্রতি ব্যয় হয় পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকা। একরে  লাভ হয় প্রায় দেড় থেকে  দু লক্ষাধীক টাকা। আখ চাষের সাথে অন্যান্য সবজী জাতীয় ফসল চাষ করার সুযোগ থাকায় চাষীদের মাঝে আখের চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিগত বছরের চেয়ে এবছর আখের চাষ বেড়েছে কয়েকগুন।  ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে পাইকারী ভাবে আখ ক্রয় করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন। এছাড়াও আখ স্থানীয় মানুষের চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। এটি একবছরি ফসল। অক্টোবর হতে ডিসেম্বরের( কার্তিক-অগ্রহায়ণ) মাসের মধ্যে আখের চারা রোপন করা হয়। অঙ্গজ পদ্ধতিতে আখের বংশবিস্তার হয়ে থাকে।
পশ্চিম বোড়াগাড়ী দোলাপাড়া গ্রামের আখচাষী নুর ইসলাম বলেন, আমাদের এদিকে কয়েক জাতের আখ চাষ করা হয়। যেমন, গেন্ডারী, হাইব্রীড, ইশ্বরদি,দেশী আখ ইত্যাদি। চিবিয়ে খাওয়ার আখের চাহিদা বেশী। তাই এদিকে চিবিয়ে খাওয়া আখ বেশী চাষাবাদ করা হয়। আখ চাষে তেমন খরচ হয় না তবে পরিচর্যার কমতি করা যাবে না। আখ লাগানোর দুই থেকে চার মাসের মধ্যে নিড়ানী দিতে হয়। নিড়ানি শেষে সেচ ও সার দিতে হয়।
আখচাষী লিটন মিয়া জানান, গেন্ডারী ও ইশ্বরদী আখ খুব সহজে চাষ করা যায়। এজাতীয় আখে রোগ-বালাই্ কম হয়। কিন্তু হাইব্রীড(লাল জাতীয়) আখের রোগের আক্রমন বেশী হওয়ায় এজাতীয় আখ কম চাষ করে চাষী। তবে এখন বিভিন্ন কীটনাশক, ছত্রাকনাশক স্প্রে  করে ভালো ফলাফল পাওয়ায় এ জাতীয় আখের চাষ দিনদিন বাড়ছে।
পেয়ারুল ইসলাম  জানান, হাইব্রিড জাতীয় আখ প্রতিপিচ আট থেকে দশ টাকা বিক্রি করা হয়। একশ আখের দাম পাইকারি বিক্রি করা হয় ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ জাতের আখ আগাম চাষ হয়, তাই বেশী দামে বিক্রি হয়।
আখচাষী নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমি ১ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমি ৩বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। এবারও লাভের আশা করছি। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসছে ভালো দামে আখ বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশী লাভের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আনিছুজ্জামান জানান, এবার উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে ইশ্বরদী -৩৭,৩৮,৪০ জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য জাতের আখ আরো ২থেকে ৩ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার আখের ফলন ভালো হয়েছে। তবে আখ চাষীদের কৃষি দপ্তর থেকে শুধু পরামর্শ দেয়া হয়। আখ চাষীদের দেখা শুনা করেন আখ গবেষণা কেন্দ্র ইশ্বরদী থেকে।
মাধ্যম
আব্দুল্লাহ আল মামুন

এমন আরো সংবাদ

Back to top button