রাজনীতিহাইলাইটস

হাটহাজারী মাদ্রাসার নতুন অভিভাবক কে এই মাওলানা ইয়াহ্ইয়া?

মুফতি ইয়াহিয়া -
মুফতি ইয়াহিয়া –

দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন মাওলানা ইয়াহইয়া আলমপুরী। তিনি ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার অন্তর্গত আলমপুর গ্রামের কাজী সালেহ আহমদ বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  বুধবার সকাল ১০টায় আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হাটহাজারী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি মজলিশে শূরার বৈঠকে মুফতি আজম আব্দুচ্ছালাম চাটগাঁমীকে পরিচালক ও  মাওলানা ইয়াহইয়াকে সহকারী পরিচালক ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই সদ্য নিযুক্ত মুফতি আব্দুচ্ছালাম ইন্তেকাল করেন। এর পর মজলিশে শূরা মাওলানা ইয়াহহিয়া সাহেবকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক শিক্ষা

মাওলানা ইয়াহইয়া ১০ বছর বয়সে হাটহাজারী মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক কারি নুরুল হকের কাছে শিক্ষা শুরু করে ১৯৭৩ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন।

তার শিক্ষকরা হলেন— মুফতি আজম ফয়জুল্লাহ, শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুল আজীজ রহ. আল্লামা আব্দুল কাইয়ুম, মুফতি আহমদুল্লাহ, মাওলানা হামেদ, আল্লামা নাদেরুজ্জাম, মাওলানা ইব্রাহীম আলমপুরী ও শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী প্রমুখ।

১৯৭৩ সালে তিনি শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে হাটহাজারীর গড়দুয়ারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। গড়দুয়ারা মাদ্রাসায় ১০ বছর শিক্ষকতার পরে তিন বছর মাদার্শা মাদ্রাসা ও হাজী ইউনুস সাহেব রহ. প্রতিষ্ঠিত ইছাপুর ফয়জিয়া তাজবিদুল কুরআন মাদ্রাসায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেন। অতঃপর হাটহাজারী মাদ্রাসার মজলিশে শূরার ডাকে ১৯৯১ সালে উম্মুল মাদারিসখ্যাত হাটহাজারী মাদ্রাসায় যোগদান করেন।

শিক্ষকতা সময়ের শুরু থেকে আজ অবধি তার মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে দক্ষতার সহিত উর্দুখানা থেকে তাফসির জামাত পর্যন্ত সব বিভাগের বিভিন্ন কিতাবের পাঠদান করে আসছেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত মজলিশে শূরার বৈঠকে মসলিশে এদারি (মাদ্রাসা পরিচালনা বোর্ড)-এর সদস্য নির্বাচিত হন।

খেলাফত লাভ

হাটহাজারী মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে শুধু জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই তৃপ্ত হননি বরং আধ্যাত্মিক সাধনার জন্যেও অস্থির ছিলেন মাওলানা ইয়াহইয়া আলমপুরী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তাসবিহ তাহতাফসির আদায়ে সুষ্ঠু নিয়ম, আকাবিরদের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা-শ্রদ্ধা এবং উন্নত চরিত্রের অধিকারী ও হজরতের খোদাভীরু, ইখলাস ও আমল-আখলাক দেখে শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রাহ. এর সুযোগ্য খলিফা আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. চার তরিকার খেলাফত দান করে বাইয়াত ও মুরিদ করার অনুমতি প্রদান করেন।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button