হিরো অফ দি ডে

বন্ধ কারখানায় প্রাণ ফেরানো সফল এক উদ্যোক্তা রাকিব

কারখানায় কাজ দেখছেন আবদুল্লাহ হিল রাকিব
কারখানায় কাজ দেখছেন আবদুল্লাহ হিল রাকিব

দুই মামা বিদেশি জাহাজে কাজ করেন। দেশ-বিদেশ ঘোরেন। ছুটিতে দেশে ফিরলে বিভিন্ন বন্দরের গল্প করেন মামারা। সেই রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যেত ছোট্ট আবদুল্লাহ হিল রাকিবের মন। তখন থেকেই দেশ-বিদেশ ঘোরার ইচ্ছা জাগে। সেই স্বপ্ন পূরণে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার লক্ষ্যও নির্ধারণ করে ফেলেন। পড়ালেখাসহ অন্যান্য প্রস্তুতিও সেভাবেই চলতে থাকে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বরও পান। তবে গোল বাধল অন্য জায়গায়। ওইবারই প্রার্থীদের উচ্চতার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মেরিন একাডেমি কর্তৃপক্ষ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আটকে যান তিনি। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।

মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হলেও ভেঙে পড়েননি রাকিব। নতুন করে শুরু করলেন, তবে এবার আর কোনো লক্ষ্য স্থির করলেন না। যদিও দেশ-বিদেশ ঘোরার ইচ্ছা ভেতরে-ভেতরে উঁকি দিত প্রতিনিয়ত। ঢাকা সিটি কলেজে ভর্তি হন। পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনিও করতেন।

পড়ালেখা শেষে ছয় বছর দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও ২৩ বছরের ব্যবসায়ী জীবনে নিজেকে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আবদুল্লাহ হিল রাকিব। এ ক্ষেত্রে অন্য উদ্যোক্তাদের চেয়ে ভিন্ন পথে হেঁটেছেন তিনি। একে একে চারটি রুগ্‌ণ পোশাক কারখানা কিনে সেগুলোতে প্রাণ ফিরিয়েছেন। তার মধ্যে দুটি পরিবেশবান্ধব কারখানা। শুধু কি প্রাণ ফেরানো? বন্ধ কারখানাকে করেছেন লাভজনক। তৈরি করেছেন হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান। দেশের ভেতরেও পোশাকের ব্র্যান্ড টুয়েলভ প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাঁচ বছরের যাত্রায় বর্তমানে ব্র্যান্ডটির বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ২৪।

পোশাকের পাশাপাশি ওষুধ, প্রযুক্তি ও আবাসন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন সফল এই উদ্যোক্তা। টিম গ্রুপের ১২টি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সাড়ে ১৮ হাজার কর্মী। তাদের বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ ৪৫ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। এই আয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসা থেকে আসে।

টিউশনিতে আয় ৩০-৪০ হাজার

আবদুল্লাহ হিল রাকিবের বাবা ওয়াহিদুর রহমান বিমানবাহিনীতে কাজ করতেন। সেই সুবাদে তেজগাঁওয়ের কোয়ার্টারে বড় হওয়া। শাহীন স্কুলে ছাত্রজীবন শুরু। পরে আদমজীতে পড়াশোনা। উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন নটর ডেম কলেজে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই টিউশনি, মানে ছাত্র পড়াতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরও সেটি অব্যাহত ছিল। মাস্টার্সে পড়ার সময় রীতিমতো ব্যাচ আকারে ছাত্র পড়াতে শুরু করলেন। পড়ালেখার পাট চুকিয়ে বন্ধুরা টপাটপ চাকরিতে যোগ দিতে শুরু করলেন। তখনো ছাত্র পড়িয়ে বন্ধুদের চেয়ে বেশি আয় করতেন রাকিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন ডেকো গ্রুপে, সেটি ১৯৯২–৯৩ সালের কথা। সেই শিক্ষকের সঙ্গে কাজ শুরু করলেন রাকিব। তবে পছন্দ না হওয়ায় দুই মাস পর তা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন শিক্ষক তাঁকে নিয়ে যান ডেকোর এমডির কাছে। রাকিবের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে পছন্দ হলো প্রতিষ্ঠানটির এমডির। তিনি রাকিবকে তাঁদের পোশাকের ব্যবসায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। মাসে বেতন ৭ হাজার টাকা।

আবদুল্লাহ হিল রাকিব বললেন, চাকরির প্রস্তাব পেয়ে দোটানায় পড়ে গেলাম। তখনো আমি টিউশনি করে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করি। তার বদলে ৭ হাজার টাকার চাকরি। যোগ দেব কি না, বুঝতে পারছিলাম না। এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন ডেকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হংকং যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন। তাতে আমি চাকরিতে যোগ দিতে রাজি হয়ে গেলাম। কারণ, তখনো বিদেশ ঘোরাঘুরির বিষয়ে দুর্বলতাটা আগের মতোই ছিল।

ডেকোতে যোগ দেওয়ার পরে হংকংয়ের বদলে রাকিবকে পাঠানো হয় ভারতে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে টানা ৩৮ দিন ঘুরে কাপড়সংক্রান্ত একটি জটিল সমস্যা সমাধান করে দেশে ফেরেন। তাতে ডেকোর এমডির কাছে তাঁর সমাদর বেড়ে যায়। তারপর সিঙ্গাপুরভিত্তিক বহুজাতিক একটি বায়িং হাউসে ৪৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরি নেন রাকিব।

১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিখ্যাত খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ড গ্যাপে যোগ দেন আবদুল্লাহ হিল রাকিব। তখন ঢাকা থেকে বিমানে করে গ্যাপের হংকং অফিসে গিয়ে জয়েন করেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে গ্যাপের কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

গ্যাপের চাকরির সাক্ষাৎকারে মজার ঘটনা ঘটেছিল। রাকিব বললেন, ‘সোনারগাঁও হোটেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে এক বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করলাম। বন্ধুকে বললাম, বেতন কত চাওয়া যায়। সে বলল, দুই হাজার ডলার। আমি অবাক হয়ে বললাম, ধ্যাত এত চাওয়া যায় নাকি। যা হোক, সাক্ষাৎকারে যথারীতি আমরা কাছে বেতন কত চাই জানতে চাওয়া হলো। আমি ২ হাজার ডলার চাইলাম। তারা জানাল, এই পদের জন্য তাদের ২,৪০০ ডলার বরাদ্দ রয়েছে। আমি তখন বললাম, তোমরা দিতে চাইলে আমি খুশি থাকব।’

ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু

গ্যাপে যোগ দেওয়ার ছয় মাস পর রাকিবকে সিঙ্গাপুর কার্যালয়ের অধীনে স্থানান্তর করা হয়। তখন প্রতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যেতেন। কাজের ফাঁকে আগের কর্মস্থল সিঙ্গাপুরের বায়িং হাউসের মূল মালিকের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। তিনি রাকিবকে তাঁর কোম্পানিতে চলে আসতে বলেন। পাত্তা দিতেন না রাকিব। তবে এক পর্যায়ে গ্যাপের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করার মনস্থির করেন। তখন সিঙ্গাপুরের সেই বায়িং হাউসের মালিক ব্যবসা করার প্রস্তাব দেন। রাজি হয়ে যান রাকিব।

মুনাফার অংশীদারত্বে ১৯৯৯ সালে একটি বায়িং হাউস করেন আবদুল্লাহ হিল রাকিব। ঢাকায় হয় লিয়াজোঁ অফিস। সেটির দায়িত্ব নেন তিনি। বিভিন্ন কারখানা থেকে পোশাক বানিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতেন। প্রথম বছর ৭০ লাখ ডলারের ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্জন করেন রাকিব। ২০০৫ সালে টেক্সবো ১৫ কোটি ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান সরাসরি কারখানা না থাকলে ক্রয়াদেশ দিতে চাচ্ছিল না। সে জন্য কারখানা করার তাগিদ অনুভব করেন রাকিব। তবে তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার বলতেন, কারখানায় বিনিয়োগ করলে তুমি টাকা দেখবা না, খালি মেশিন দেখবা। পরে অবশ্য দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান কিনে দ্রুত উৎপাদনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এক পর্যায়ে কিছু বিষয়ে মতের মিল না হওয়ায় নিজেই বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন রাকিব।

২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংকের কাছ থেকে রূপগঞ্জের গ্রামটেক নামের বন্ধ এক নিটিং ও ডায়িং কারখানা কিনে নেন। ছয় লাইনের কারখানাটির দায়দেনা ছিল ৩২ কোটি টাকা। নিজের দুটি জমি বিক্রি করে ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা প্রথম কিস্তি দেন। সেই কারখানাকেই তিনি লাভজনক করেন। ছয় লাইন থেকে কারখানাটিকে ৩৬ লাইনে নিয়ে যান। বর্তমানে কারখানাটির কোনো দায়দেনাও নেই।

কারখানার উৎপাদন শুরুর আগেই ক্রয়াদেশ পেয়েছিলেন রাকিব। বায়িং হাউসের ব্যবসা করার সুবাদে অনেক ক্রেতার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি কারখানা করছেন শুনে জার্মানির একজন ক্রেতা মেইল করে ৩০ লাখ পিছ টি–শার্টের ক্রয়াদেশের পিও শিট পাঠিয়ে দেন।

বন্ধ একটি কারখানা চালু করে সাফল্য পাওয়ায় রাকিবের কাছে আবারও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অন্য আরেকটি রুগ্‌ণ সোয়েটার কারখানা কেনার প্রস্তাব নিয়ে যান। আশুলিয়ার ধউর এলাকার কারখানাটি কিনে নেন রাকিব। একই প্রক্রিয়ায় আশুলিয়ার বাইপালের ফোরআর ইয়ার্ন ডায়িং নামের আরেকটি রুগ্‌ণ কারখানা কেনেন। সেখানে সুতা রং করে সুবিধা করতে না পারায় বন্ধু আবদুল ওয়াদুদের পরামর্শে জ্যাকেট কারখানা করেন। এভাবে প্রতিটি কারখানাকেই লাভজনক করেন রাকিব।

আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘আমি যখন কারখানা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তখন নতুন গ্যাস–সংযোগ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই দ্রুত উৎপাদন শুরু করতে পুরোনো কারখানা কেনার কৌশল নিয়েছিলাম। তালাবদ্ধ কারখানা দ্রুত লাভজনক করতে পারার কারণে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা রুগ্‌ণ শিল্প কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসতেন। আমিও কেনা শুরু করলাম।

এ ছাড়া বিদেশি কয়েকজন ক্রেতা বন্ধুর অনুরোধে রাকিব চালু করেন টিম সোর্সিং নামে একটি বায়িং হাউস। বর্তমানে দেশীয় মালিকানায় অন্যতম বৃহৎ এই বায়িং হাউসের সঙ্গে কাজ করছে রপ্তানিমুখী ১০৯টি পোশাক কারখানা।

বন্ধুদের সঙ্গে নতুন বিনিয়োগ

ছোটবেলা থেকেই পরিবার ও বন্ধু–অন্তঃপ্রাণ রাকিব। বন্ধুদের জন্যই নতুন কয়েকটি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। আবার ব্যবসার গুরুদায়িত্ব তুলে দিয়েছেন বন্ধুর কাঁধে। রাকিব কতটা বন্ধু–অন্তঃপ্রাণ তার দু-একটা ঘটনা শোনা যাক।

একবার কানাডায় গিয়ে অবসরে আড্ডা দেওয়ার জন্য পুরোনো এক বন্ধুকে খুঁজে বের করলেন। আলাপকালে জানলেন, সেই বন্ধুর ঢাকায় ফিরে আসা প্রয়োজন। কথাটি শুনেই বন্ধুর কাছে জানতে চান, সে কী করতে চায়। প্রথমে খাদ্যপণ্যে বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করলেও পরে সেটি বাদ দেওয়া হয়। সেই বন্ধুটি বর্তমানে টিম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেছেন।

রাকিবের আরেক বন্ধু দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি আবাসন কোম্পানিতে কাজ করতেন। একদিন ওই বন্ধুটি এসে বললেন, চাকরিবাকরি ভালো লাগছে না। রাকিব বললেন, কী করতে চাস। আলাপচারিতায় সিদ্ধান্ত হলো আবাসন কোম্পানি করা হবে। সেটি চালাবেন সেই বন্ধু। প্রতিষ্ঠিত হলো টিম ডেভেলপার্স লিমিটেড। রাকিবের বাসার প্রতিবেশী এক মহিলা ও বসুন্ধরায় এক বন্ধুর জমিতে এক দিনে দুটি আবাসন প্রকল্প শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

এভাবেই বন্ধুদের নিয়ে, বন্ধুদের জন্যই সরঞ্জাম ও ওষুধের ব্যবসায় নামেন রাকিব। সেগুলোতে বন্ধুদের মালিকানাও দেন। সব মিলিয়ে টিম গ্রুপে রাকিবের মালিকানা ৮৫-৯০ শতাংশ। বাকিটা তাঁর বন্ধুদের।

রাকিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন মো. আবদুল ওয়াদুদ (অরুণ) গত বছর করোনায় মারা যান। তিনি জ্যাকেট কারখানা দেখভাল করতেন। তাঁর কথা বলতে গিয়ে রাকিবের কণ্ঠ ধরে আসে। বললেন, ‘অরুণ ছিল আমার সেই বন্ধু, যার ওপর কঠিন দায়িত্ব দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত থাকতাম।’

৬০ বয়সের পর..

তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে চতুর্থ আবদুল্লাহ হিল রাকিব। সহধর্মিণী আফরোজা শাহীন আর দুই সন্তান মাহির দাইয়ান ও লামিয়া তাবাসসুমকে নিয়ে তাঁর সংসার। যদিও পড়াশোনার জন্য সন্তানেরা বর্তমানে বিদেশে। সঙ্গে তাঁদের মা–ও। ফলে দেশে যখন থাকেন, তখন কাজেই ডুবে থাকেন রাকিব। মাঝেমধ্যেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বিদেশ যান।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘পোশাকের ব্যবসা যেমন দ্রুত উত্থান হয়, তেমনি পতনও দ্রুত ঘটে। এ কারণে সময় থাকতে থাকতে ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছি। চলমান কিছু প্রকল্প শেষ হলে পোশাক ও বস্ত্র খাতে নতুন বিনিয়োগে করব না। তা ছাড়া ৬০ বছরের পর আমি আসলে ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকতে চাই না। আমার স্ত্রীর ইচ্ছা কমিউনিটি ক্লিনিক করে দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেবেন। আমিও তাঁর সঙ্গে যোগ দেব।’

জানতে চাইলাম নিজের বিচারে জীবনে কতটুকু সফল হয়েছেন। আত্মতৃপ্তি কী আছে। রাকিব বললেন, ‘সেভাবে কখনো ভাবিনি। অত পরিকল্পনা করে ব্যবসা করিনি। চলার পথে যখন যেটি সামনে এসেছে, সেটি সঠিকভাবে করার চেষ্টা করেছি। কতগুলো মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলাম, সেটিই দিন শেষে আমার জন্য আনন্দের।’

 

এমন আরো সংবাদ

Back to top button