ভ্রমণ

প্রস্তত কুয়াকাটা পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা

85323দীর্ঘ পাঁচ মাসের অচলাবস্থা কাটিয়ে ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটক বরনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। নতুন রূপে সাজানো হয়েছে হোটেল-মোটেল-কটেজসহ বিপনী বিতান, দর্শনীয় স্থান। কাজ না থাকায় বাড়ী চলে যাওয়া কর্মচারীরা ফিরে এসেছে। সরকারী নির্দেশনানুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনায় এসব কর্মচারীদের দিক নির্দেশানা দেয়া হয়েছে প্রশাসন ও মালিক পক্ষ থেকে। পর্যটন মৌসুম না হলেও দ্বিতীয় দফা লকডাউনরে লোকসান কাটিয়ে অন্তত: খরচ পোষাতে পারবেন এমন প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় দ্বিতীয় দফা লকডাউনে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার পর্যটন খাত। সব শ্রেনীর বিনিয়োগকারীসহ মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েন বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ফটোগ্রাফার, ট্যুরস অপারেটরস, ফিসফ্রাই-শুটকী-ঝিনুক পল্লী, সৈকতের ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। জীবিকা বন্ধ থাকায় এরা পার করছে মানেবতর জীবন।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ব্যাংক, এনজিও’র ঋনের চাপে অনেক ব্যবসায়ী হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। অনেকেই এসব ঋন পরিশোধে বিকল্প ব্যবসার চিন্তা করছেন। এদিকে লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কয়েকশ’ শ্রমিক-কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করতে বাধ্য হয়েছেন।
কুয়াকাটা টুর‌্যস অপরেটর এশোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রুমান ইতিয়াজ তুষার বলেন, প্রথম দফার মত দ্বিতীয় দফা লকডাউনের ফলে পর্যটন সংশ্লিস্ট অনেক কর্মচারী তাদের চাকুরী হারিয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানে এসব কর্মচারীদের পুনরায় যোগাদন হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। কারন লোকসানের বোঝা হালকা করতে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ছাটাই করছে।
হলিডে ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান মিরাজ বলেন, চলমান সংকট মোকাবিলা করে ঘুরে দাড়নোর জন্য প্রয়োজন সরকারের আপতকালীন ও দীর্ঘ মেয়াদী সহযোগিতা।
কুয়কাটা হোটেল-মোটেল ওসার্ন এসোশিয়েশনের সেক্রেটারী জেনারেল মোতালেব শরীফ বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনার পর কুয়াকাটার সকল হোটেল-মোটেল-কজেট বন্ধ রয়েছে। সমুহ ক্ষতি বিবেচনায় বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের ছুটি দিয়েছেন। চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই ছিল এক ধরনের স্থবিরতা। এমন পরিস্থিতিতে সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন পর্যটন সংষিøস্ট ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়িক এ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লকডাউনে কুয়াকাটার পর্যটন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রনোদনার কোন সহযোগিতা পায়নি বিনিয়োগকারীরা। এমনকি ধর্না দিয়েও ঋনের সুদ মওকুফসহ ব্যাংক থেকেও কোন ঋন সহায়তা পাওয়া যায়নি।

মাধ্যম
জাহিদ রিপন

এমন আরো সংবাদ

Back to top button