ভ্রমণহাইলাইটস

আশায় বুক বাঁধছেন রাঙামাটির পর্যটন সংশ্লিষ্টরা

8710পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার ঘোষণায় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশায় বুক বাঁধছেন রাঙামাটির পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। করোনার কারণে প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ থাকার পর আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে সীমিত পরিসরে খোলা হবে বিনোদনকেন্দ্র। আর সরকারের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা পালনে কাজ করবে টুরিস্ট পুলিশ।

হ্রদ-পাহাড়ে ঘেরা রাঙামাটি। প্রতি বর্ষায় প্রকৃতি সাজে আপন রূপে। আর ঝর্ণাগুলো চিরচেনা রূপ ফিরে পায়। এসব সৌন্দর্য দেখতে প্রতি বছর লাখো পর্যটক আসেন। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে পাহাড়ের সেই চিরচেনা রূপ দেখতে এ বছরও আসতে পারেননি কোনো পর্যটক।

সম্প্রতি সীমিত পরিসরে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার ঘোষণায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কর্মহীন দিনগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করা নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীরা নতুন উদ্যোমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এক বোট শ্রমিকরা বলছেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ ছিল। এতে আমাদের বোটগুলো এত দিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এখন এগুলো সংস্কার করছি। বোটের উপরই আমাদের পরিবার চলে। এতদিন কাজ না থাকায় কষ্টে দিন কেটেছে। এখন খুলে দেবে বলায় আমাদের কাছে ঈদের আনন্দের মতো লাগছে।
দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নেওয়ার আশা স্থানীয় তাঁত ব্যবসায়ীদের। আর পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন হোটেল মালিকরাও। দোকানিরা বলছেন, যারা এতদিন ঘরে বসে ছিলেন, তারা অবশ্যই আসেবে বলে আশা করি। আমাদের প্রত্যাশা আমরা এগিয়ে যাবো। দর্শনার্থী ঠিকমতো আসলে আমরা আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এত দিন বন্ধ থাকায় প্রকৃতি সুন্দর হয়েছে। আমরাও বসে আছি পর্যটকদের বরণ করে নেওয়ার জন্য। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধির সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এএসপি কৃষ্ণ কুমার সরকার বলেন, পর্যটকদের ক্ষেত্রে আমরা নিরপত্তার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও খুব গুরুত্ব দেব।
স্বাভাবিক সময়ে প্রকৃতির পাশাপাশি জেলার সবচে আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু ও সুবলং ঝর্ণা দেখতে আসেন বছরে প্রায় ৫ লাখ ভ্রমণপিপাসু।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button