দেশ

সময় এখন নরসুন্দরদের

৮/৫২০ঈদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ, কেনা-কাটা শেষের পথে। রাত পোহালেই মুসলিম বিশ্বের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এখন সময় নিজেকে পরিপাটি করার পালা। ঈদের আগের শেষ সময়টায় নিজেকে একটু পরিপাটি করে তুলতে ছেলে-বুড়ো সবাই চুল-দাঁড়ি কাটার প্রয়োজনে নরসুন্দরদের কাছে যাচ্ছেন। আর সেই কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসুন্দররা। ফেনী শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেলুন ও জেন্টস পার্লারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি ঈদের মতো এবারও ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসুন্দররা। স্বাভাবিক দিনের সময়ের চেয়ে পারিশ্রমিকও নিচ্ছেন বেশি, তাদের দাবি মানুষ খুশি হয়ে তা দিচ্ছেও।  দিনরাত সমান তালে কাজ করতে দেখা যায় তাদের। দোকানে ব্যস্ততা থাকায় অনেকেই নির্ঘুম রাত পার করছেন।  বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যায় দেখা গেছে, শহরের সেলুনগুলোতে চুল কাটার জন্য অপেক্ষায় মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মত।  শহরের ট্রাংক রোড়ের একটি সেলুনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে লম্বালাইন।  বিকাশ দাস নামে ওই সেলুনটির মালিক জানান, তার সেলুনে ৪ জন কাজ করেন, সবাই ব্যস্ত কারোরই দম ফেলার ফুসরত নেই।

আজগর আহমেদ নামে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, দিনের বেলায় কয়েকবার এসেছিলাম শিডিউল খালি না পেয়ে ফিরে গিয়েছি। তাই সন্ধ্যার সময়টা বেছে নিয়েছি। এই সময় ব্যস্ততা একটু কম থাকায় শিডিউল পেয়েছি। ফাহাদ হোসেন নামে আরেক যুবক বলেন, অন্য সময় মাথার চুল কাটাতে ৭০/৮০ টাকা লাগলেও ঈদের এ সময়ে দিতে হচ্ছে ১শ থেকে ১শ ২০ টাকা। সেভ করতেও দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

ছাগলনাইয়ার ম্যানজ স্টাইল নামে একটি জেন্টস পার্লারের মালিক আশফাক হোসেন বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন অনেক কষ্টে ছিলো এ পেশার লোকজন। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। সেলুনগুলোতে মানুষ আসছে। গত দুই-তিন দিন আগ থেকে কাস্টমারের চাপ কিছুটা বেড়েছে। ব্যস্ততার কারণে বাড়িতেও যেতে পারেননি।

ছাগলনাইয়া বাজারের জিরোপয়েন্ট এলাকার নরসুন্দর অজয় কুমার বলেন, দাঁড়ি সেভ করা ও কাটার জন্য ৭০ টাকা এবং চুল কাটতে দিতে হচ্ছে ১০শ টাকা। সবকিছুর দাম বেশি, তাই পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়েছে।

ফেনী শহরের মজিদ মিয়ার বাজার এলাকার বিকাশ চন্দ্র নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দুই ঈদ ও পূজা কেন্দ্রিক তাদের ব্যবসা। তাই ঈদের সময় সারারাত কর্মব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। এ নরসুন্দর বলেন, ঈদের এ মৌসুমটাকে পারিশ্রমিক একটু বেশি নেওয়া হয়, তবে তা জোর করে নয় যারা সেলুনে আসেন খুশি হয়েই বেশি করে দেন।   আফজাল নামে এক কলেজ ছাত্র বলেন, খুশি করে আমরা ১০/২০ টাকা দিতে পারি, দ্বিগুণ দাম বাড়ানোটা ঠিক নয়। ঈদ সবার জন্য এসেছে শুধু তাদের জন্যর একার নয়।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button