কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের স্বল্প আয়ের শহরের যুব উদ্যোক্তা ও বিদেশফেরত শ্রমিকদের সহায়তায় ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। গতকাল ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এ ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের শিগগিরই চুক্তি সই হবে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, এ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ক্ষুদ্র যুব উদ্যোক্তাকে সহায়তা দেয়া হবে। কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যাতে সবাই আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারেন। এসব সেবা দিতে ৩২ জেলায় কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। করোনার প্রাদুর্ভাবে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এ প্রকল্পের আওতায় তাদেরও সহায়তা দেয়া হবে।
অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মসংস্থান, পুনরুদ্ধার এবং অগ্রগতিবিষয়ক বা রেইসি প্রকল্পের আওতায় সহজ শর্তে এ ঋণ দেয়া হবে। পাঁচ বছর গ্রেস সময়সীমাসহ ৩০ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে পাঁচ বছর শুধু ঋণের মূল টাকা পরিশোধ করতে হবে। তারপর থেকে সুদ ও আসল দিতে হবে। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন বলেন, অনানুষ্ঠানিক এবং জনশক্তি রফতানিকারক খাত গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে এ দুই খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।