স্বাস্থ্য

সুরক্ষা’য় যেভাবে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন

করোনা টিকার অ্যাপ: সুরক্ষা'য় যেভাবে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেনবাংলাদেশে রবিবার ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুরুতেই সম্মুখ সারির কর্মী এবং ৪০ বছরের বেশি নাগরিকদের টিকা দেয়া হবে। এই বয়স সীমা আগে ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হলেও সেটি আবার কমিয়ে আনা হয়েছে। ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা যে কোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।

তবে টিকা নিতে হলে নাম নিবন্ধন করতে হবে সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এর আগে এ বিষয়ক একটি অ্যাপ চালু হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে সেটি আর কাজ করছে না।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক(এমআইএস) ডা. মিজানুর রহমান বলেন, অ্যাপটি এখনো তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি বলে কাজ শুরু হয়নি। তবে এটি শিগগিরই চলে আসবে।

অ্যাপ না থাকলেও নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্পট রেজিস্ট্রেশন

প্রাথমিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে নিবন্ধন করা নিয়ে ঝামেলার মুখে পড়ার কথা অনেকে জানানোর পর নিবন্ধনের কাজ সহজ করতে নেয়া পদক্ষেপের অংশ হিসাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্পট রেজিস্ট্রেশন বা টিকা কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিল।

বিবিসি বাংলাও এ বিষয়ে এই প্রতিবেদনে সে খবর দিয়েছিল।

কিন্তু বৃহস্পতিবার ১১ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান সরকার ‘স্পট রেজিস্ট্রেশন’ অর্থাৎ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে রেজিস্ট্রেশন করে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন এখন থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা মানুষেরাই কেবল নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে পারেন নিচের লিংকে:

ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুরক্ষা.গভ.বিডি

https://www.surokkha.gov.bd/ নামের ওয়েবসাইটে টিকা নিতে আগ্রহীদের নাম নিবন্ধন করতে হবে।

এজন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশা, শারীরিক পরিস্থিতি, ফোন নাম্বার ইত্যাদি তথ্য।

সেখানে প্রথমে নিজের পেশার ধরণ, পেশা বাছাই করার পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিতে হবে।

বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামাররা এই ডাটাবেজটি তৈরি করেছেন।

বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ”এটি একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন। দেশের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে এটি হোস্ট করা হয়েছে। ফলে যত মানুষ এটায় নিবন্ধন করতে চাইবেন, সেই অনুযায়ী এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে।”

তিনি জানিয়েছেন, এর মোবাইল ভার্সনটি প্রস্তুত করে রাখা হবে। যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চাইবে, তখনি তাদের দেয়া হবে।”

বাংলা ও ইংরেজি, উভয় ভাষায় এই ওয়েবসাইটে তথ্য পূরণ করা যাবে। ওয়েব অ্যাপলিকেশনে নিবন্ধন করতে হলে তাদের বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button